अथर्ववेद - काण्ड 2/ सूक्त 33/ मन्त्र 3
सूक्त - ब्रह्मा
देवता - यक्षविबर्हणम्,(पृथक्करणम्) चन्द्रमाः, आयुष्यम्
छन्दः - ककुम्मत्यनुष्टुप्
सूक्तम् - यक्षविबर्हण
हृद॑यात्ते॒ परि॑ क्लो॒म्नो हली॑क्ष्णात्पा॒र्श्वाभ्या॑म्। यक्ष्मं॒ मत॑स्नाभ्यां प्ली॒ह्नो य॒क्नस्ते॒ वि वृ॑हामसि ॥
स्वर सहित पद पाठहृद॑यात् । ते॒ । परि॑ । क्लो॒म्न: । हली॑क्ष्णात् । पा॒र्श्वाभ्या॑म् । यक्ष्म॑म् । मत॑स्नाभ्याम् । प्ली॒ह्न: । य॒क्न: । ते॒ । वि । वृ॒हा॒म॒सि॒ ॥३३.३॥
स्वर रहित मन्त्र
हृदयात्ते परि क्लोम्नो हलीक्ष्णात्पार्श्वाभ्याम्। यक्ष्मं मतस्नाभ्यां प्लीह्नो यक्नस्ते वि वृहामसि ॥
स्वर रहित पद पाठहृदयात् । ते । परि । क्लोम्न: । हलीक्ष्णात् । पार्श्वाभ्याम् । यक्ष्मम् । मतस्नाभ्याम् । प्लीह्न: । यक्न: । ते । वि । वृहामसि ॥३३.३॥
अथर्ववेद - काण्ड » 2; सूक्त » 33; मन्त्र » 3
भाषार्थ -
(তে) তোমার (হৃদয়াৎ) হৃদয় থেকে, (পরিক্লোম্নঃ) ক্লোম থেকে, (হলীক্ষ্ণাৎ) হলীক্ষ্ণ থেকে, (পার্শ্বাভ্যাম্, মতস্নাভ্যাম্) পার্শ্ববর্তী দুই বৃক্ক থেকে, (প্লীহ্নঃ) প্লীহা থেকে, (যক্নঃ) যকৃৎ থেকে (যক্ষ্মং) যক্ষ্মা রোগকে (বি বৃহামসি) আমরা [বৈদ্য] নিষ্কাশিত করি।
टिप्पणी -
[ক্লোমা= ফুসফুস। হলীক্ষ্ণ=সম্ভবতঃ Duodenum, যা অগ্নাশয় থেকে নির্গত প্রায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা অঙ্গ, এর মধ্যে পাচন ক্রিয়াও হয়। দুটি বৃক্ক, যা পীঠের কটিভাগের ঊর্ধ্বপ্রদেশে স্থিত, যার মধ্যে মূত্র-নির্মাণ হয়। ইহা মদকারী মূত্রকে বের করে শরীরের শোধন করতে থাকে "ক্ষ্ণা শৌচে" (অদাদিঃ)। যকৃত হল liver (পিত্তস্রাবী) যা শরীরের দক্ষিণ ভাগে স্থিত, এর দ্বারা আমি বেষ্টিত রয়েছি। অতঃ না আমাকে প্রাপ্ত হয়েছে নিক্ষিপ্ত তির; তথা অনিক্ষিপ্ত তীর আমাকে প্রাপ্ত হয়েছে, যা দেবগণের দ্বারা নিক্ষিপ্ত হয়েছে, আমার বধের জন্য। মন্ত্রে কশ্যপ-এর জ্যোতি এবং বর্চস্ অর্থাৎ দীপ্তি-এর বর্ণনা হয়েছে। এটাই কশ্যপের "বীবর্হণ", ছেদক অস্ত্র। অতঃ কশ্যপ অর্থাৎ সূর্যের প্রকাশময়ী ও তেজস্বী রশ্মিসমূহ এর বর্ণনা মন্ত্রে হয়েছে। ইহার সেবনে মনুষ্য দৈবিক ও মানুষিক বধ থেকে রক্ষা পায়। সায়ণাচার্য "বিবর্হণ" দ্বারা "কশ্যপস্য মহর্ষেঃ বিবর্হ সূক্তম্" অর্থ করেছে, যা 'ত্বচস্য যক্ষ্ম" এর নিবৃত্তি করতে পারে না। কিন্তু সূর্যের জ্যোতি এবং দীপ্তি প্রয়োগ হলে "ত্বচস্য যক্ষ্ম" নিবৃত্ত হতে পারে। দৈবীঃ ইষবঃ = অতি ঠাণ্ডা, অতি গরম, অতি বর্ষা এবং রোগ আদি । যক্ষ্ম= শারীরিক রোগ এবং লোম অর্থাৎ মাথার চুল, গোঁফ, দাড়ি ও ভ্রূ-এর শীঘ্র পতিত হয়ে যাওয়া অর্থাৎ সাদা হয়ে যাওয়া এবং ঝরে যাওয়াকে "যক্ষ্ম" বলা হয়েছে। যক্ষ্মা পদ কোনো প্রকারের হওয়া ক্ষীণতা এর নির্দেশক।]