Sidebar
अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 41/ मन्त्र 2
इ॒च्छनश्व॑स्य॒ यच्छिरः॒ पर्व॑ते॒ष्वप॑श्रितम्। तद्वि॑दच्छर्य॒णाव॑ति ॥
स्वर सहित पद पाठइ॒च्छन् । अश्व॑स्य । यत् । शिर॑: । पर्व॑तेषु । अप॑ऽश्रितम् ॥ तत् । वि॒द॒त् । श॒र्य॒णाऽव॑ति ॥४१.२॥
स्वर रहित मन्त्र
इच्छनश्वस्य यच्छिरः पर्वतेष्वपश्रितम्। तद्विदच्छर्यणावति ॥
स्वर रहित पद पाठइच्छन् । अश्वस्य । यत् । शिर: । पर्वतेषु । अपऽश्रितम् ॥ तत् । विदत् । शर्यणाऽवति ॥४१.२॥
अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 41; मन्त्र » 2
भाषार्थ -
(অশ্বস্য) অশ্বের (যৎ) যে (শিরঃ) শির, (পর্বতেষু) পর্বত-সমূহে (অপশ্রিতম্) আশ্রিত, (তৎ) তা (ইচ্ছন্) কামনা করে উপাসক (শর্যণাবতি) শর্যণাবৎ [স্রোত] এ (বিদৎ) প্রাপ্ত করেছে।
- [অশ্বস্য—অশ্ব দ্বারা অভিপ্রায় এখানে “মন”। মন শক্তিশালী, এইজন্য মনকে “অশ্ব” বলা হয়েছে। শ্বেতাশ্বতরোপনিষদে মনকে অশ্ব দ্বারা উপমিত করা হয়েছে। যথা—“প্রাণান্ প্রপীড্যেহ স সংয়ুক্তচেষ্টঃ, ক্ষীণে প্রাণে নাসিকয়োচ্ছবসীত। দুষ্টাশ্বয়ুক্তমিব বাহমেনং বিদ্বান্মনো ধারয়েতাপ্রমত্তঃ” (শ্বেতাশ্ব০ ২.৯)॥ অনেক বিদ্বান শ্বেতাশ্বতর শব্দের “শ্বেতাশ্ব” এর অর্থ করেছেন—“সাত্ত্বিক মন”। শিরঃ— অশ্ব অর্থাৎ মনের শির হল—বুদ্ধি। শরীরে প্রেরণা মন থেকে প্রাপ্ত হয়, এবং মনের মধ্যে প্রেরণা বুদ্ধি দ্বারা/থেকে প্রাপ্ত হয়। এইজন্য বুদ্ধিকে মনের শির বলা হয়েছে। উপনিষদগুলোতে মনকে প্রগ্রহ অর্থাৎ লাগাম, এবং বুদ্ধিকে সারথীও বলা হয়েছে। সারথীর হাতে সংযুক্ত-ঘোড়ার লাগাম থাকে। বুদ্ধির হাতে মনের লাগাম থাকে। যথা—বুদ্ধিং তু সারথিং বিদ্ধি মনঃ প্রগ্রহবে চ” (কঠো০ ৩.৩)। এই অশ্ব অর্থাৎ মনের শির হল, বুদ্ধি। পর্বতেষু— সাত্ত্বিক বুদ্ধি পর্বতে অভ্যাস দ্বারা প্রাপ্ত হয়। যথা—“উপহ্বরে গরীণাং সঙ্গমে চ নদীনাম্। ধিয়া বিপ্রো অজায়ত” (যজুঃ০ ২৬.১৫)। এই মন্ত্রে গিরী এবং ধী-এর পরস্পর সম্বন্ধ দর্শানো হয়েছে। এইজন্য “অশ্বের শির” অর্থাৎ বুদ্ধির বর্ণনা “পর্বতেষ্বপশ্রিতম্” এই শব্দগুলো দ্বারা করা হয়েছে। “অপশ্রিতম্” এ “অপ” এর অর্থ হল—“সরে গিয়ে”, এবং “শ্রিতম্” এর অর্থ হল—“আশ্রিত/আশ্রয় প্রাপ্ত”। এই শব্দ শির অর্থাৎ বুদ্ধির বিশেষণ। উপাসনা-প্রকরণে “সাত্ত্বিক-যোগজন্য বুদ্ধির আবশ্যকতা রয়েছে, রজস্তমোময়ী বুদ্ধির নয়। সাত্ত্বিক-যোগজন্য বুদ্ধি সংসারের ঝড়-ঝাপটা থেকে সরে গিয়ে পর্বত আদি একান্তদেশে উপাসনা দ্বারা প্রাপ্ত হয়। অপ +শ্রিতম্— এর এটাই অভিপ্রায়। শর্যণাবৎ— হৃদয় হল শর্যণাবৎ। বৈদিক সাহিত্যে “শর্যণাবৎ”কে “সরঃ” বলা হয়েছে, অর্থাৎ প্রবাহমান স্রোত। যথা— “শর্যণাবচ্চ বৈ নাম কুরুক্ষেত্রস্য জঘনার্দ্ধে সরঃ স্যন্দতে”। এই কর্মক্ষেত্র শরীরে হৃদয় হল—“রক্তের স্রোত”, যার মধ্যে রক্তরূপী জল সদা প্রবাহিত হচ্ছে। এই “হৃদয়-সরঃ” শর্যণাবৎ, বিশীর্ণ স্রোত। হৃদয়ে যখন পরমেশ্বরের সাক্ষাৎকার হয়, তখন এই শর্যণাবৎ-স্রোত বিশীর্ণ হয়ে যায়, এবং সাথে সংশয়, তর্ক-বিতর্ক, কর্ম এবং কর্মাশয়ও বিশীর্ণ হয়ে যায়। এবিষয়ে বলা হয়েছে — ভিদ্যতে হৃদয়গ্রন্থিশ্ছিদ্যন্তে সর্বসংশয়াঃ। ক্ষীয়ন্তে চাস্য কর্মাণি তস্মিন্ দৃষ্টে পরাবরে॥ (মুণ্ডক ২.২.৮)]
इस भाष्य को एडिट करें