अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 38/ मन्त्र 5
इन्द्र॒ इद्धर्योः॒ सचा॒ संमि॑श्ल॒ आ व॑चो॒युजा॑। इन्द्रो॑ व॒ज्री हि॑र॒ण्ययः॑ ॥
स्वर सहित पद पाठइन्द्र॑: । इत् । हर्यो॑: । सचा॑ । सम्ऽमि॑श्ल । आ । व॒च॒:ऽयुजा॑ ॥ इन्द्र॑: । व॒ज्री॒ । हि॒र॒ण्यय॑: ॥३८.५॥
स्वर रहित मन्त्र
इन्द्र इद्धर्योः सचा संमिश्ल आ वचोयुजा। इन्द्रो वज्री हिरण्ययः ॥
स्वर रहित पद पाठइन्द्र: । इत् । हर्यो: । सचा । सम्ऽमिश्ल । आ । वच:ऽयुजा ॥ इन्द्र: । वज्री । हिरण्यय: ॥३८.५॥
अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 38; मन्त्र » 5
भाषार्थ -
(ইন্দ্রঃ ইৎ) পরমেশ্বরই (হর্যোঃ) ঋগ্বেদের স্তুতি এবং সামগানের মধ্যে, (আ) পূর্ণরূপে এবং (সম্) সম্যকরূপে (সচা মিশ্লঃ) সমবায় সম্বন্ধ দ্বারা মিশ্রিত, কেননা (বচোয়ুজা) ঋক্ এবং সাম-এর সংযোগ পরমেশ্বরেরই প্রবচন করে। (ইন্দ্রঃ) পরমেশ্বর (বজ্রী) ন্যায়বজ্রধারী, (হিরণ্যযঃ) হিরণ্যসদৃশ বহুমূল্য সম্পত্তিসম্পন্ন, বা সকলের হিতকরী তথা রমণীয়রূপযুক্ত। অথবা— (বচোয়ুজা) যখন কর্মেন্দ্রিয় এবং জ্ঞানেন্দ্রিয়, বৈদিক বচন অনুসারে যোগযুক্ত হয়ে যায়, যোগ-এর সাধনা অর্থাৎ প্রত্যাহারযুক্ত হয়ে যায়, তখন (হর্যোঃ) প্রত্যাহার-সম্পন্ন কর্মেন্দ্রিয় এবং জ্ঞানেন্দ্রিয়ের (সচা) সাথে, (ইন্দ্রঃ) পরমেশ্বর (আ সংমিশ্লঃ) মিশ্রিত হয়ে যান। তখন (ইন্দ্রঃ) পরমেশ্বর (বজ্রী) মানো বজ্রধারী হয়ে উপাসকের বিঘ্ন-সমূহ হনন করেন, এইভাবে তাঁর [উপাসকের] জন্য (হিরণ্যযঃ) হিতকর এবং রমণীয় হন।
- [হর্যোঃ=ঋকসামে বা ইন্দ্রস্য হরী (শ০ ব্রা০ ৪.৪.৩.৬)। সচা=সচ্ সমবায়ে। মানো ঋগ্বেদের স্তুতি এবং সামবেদের সামগানের সাথে পরমেশ্বরের সমবায় সম্বন্ধ রয়েছে। ইহার দ্বারা সূচিত করা হয়েছে, উপাসনায় যে কোনো বৈদিক দৈবতনাম দ্বারা স্তুতি বা সামগান করা হোক না কেন, সেই স্তুতি এবং সামগান পরমেশ্বরের বিষয়ে বোঝা উচিৎ। যেমন অথর্ববেদে বলা হয়েছে— “যস্তং ন বেদ কিমৃচা করিষ্যতি” (৯.১০.১৮) অর্থাৎ “ঋচা-সমূহের সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই, যে ঋচা-সমূহের বর্ণনায় পরমেশ্বরকে ওত-প্রোত জানে না”। এইজন্য উপাসনায় ঋক্-সামকে পরমেশ্বরের প্রবচনকর্ত্তা বলা হয়েছে। সাম এবং ঋচা-এর পরস্পর সম্বন্ধ এরূপ, যেমন পতি-পত্নীর। পতি বিনা, পত্নীর মধ্যে পত্নীত্ব নেই, এবং পত্নী বিনা, পতির মধ্যে পতিত্ব নেই। এইভাবে গীতি দ্বারা কৃত উপাসনায় ঋক্ এবং সাম-এর পরস্পর সম্বন্ধ আছে। ঋক্ বিনা, গান সম্ভব নয়; এবং ঋক্-এর শোভা ও প্রাভাবিকতা গানের ওপর নির্ভর। এইজন্য পরমেশ্বরের প্রবক্তা রূপে ঋক্ এবং সাম এর কথন করা হয়েছে। বস্তুতঃ চার বেদ সাক্ষাৎ এবং ক্রমান্বয়ে পরমেশ্বরের প্রবক্তা। অথবা এমন স্থলে ঋক্-এর অভিপ্রায় হল ছন্দঃ সামান্য, এবং সাম-এর অভিপ্রায় হল গীতিস্বর সামান্য। ছন্দঃ এবং স্বর-এর পরস্পর মেল দ্বারাই “গায়ন” এর স্বরূপ হয়। এই দৃষ্টিতে “বচোয়ুজা” এর অর্থ হবে, এই দুই “বচন” অর্থাৎ “ছন্দ এবং স্বর” পরস্পরের মধ্যে “যুজৌ” অর্থাৎ পরস্পর সম্বদ্ধযুক্ত।]। অথবা [সংমিশ্লঃ=যেমন জলের মধ্যে লবণ দিলে তা জলের সাথে সংমিশ্রিত হয়ে জলকে লবণাক্ত করে দেয়, তেমনই যখন পরমেশ্বরের কৃপা হয় তখন ইন্দ্রিয়-সমূহ পরমেশ্বরীয় সত্তা দ্বারা প্রেরিত হয়, এবং ইন্দ্রিয়-সমূহকে নিজের ঐন্দ্রিয়িক-বিষয়-সমূহ, সর্বত্র তৎসম্বদ্ধ পরমেশ্বরীয়-সত্তার ভান/জ্ঞান হয়। ইহা ইন্দ্রিয়-সমূহের সাথে পরমেশ্বরের সংমিশ্রণ।]
इस भाष्य को एडिट करें