अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 38/ मन्त्र 6
इन्द्रो॑ दी॒र्घाय॒ चक्ष॑स॒ आ सूर्यं॑ रोहयद्दि॒वि। वि गोभि॒रद्रि॑मैरयत् ॥
स्वर सहित पद पाठइन्द्र॑: । दी॒र्घाय॑ । चक्ष॑से । आ ।सूर्य॑म् । रो॒ह॒य॒त् । दि॒वि ॥ वि । गोभि॑: । अद्रि॑म् । ऐ॒र॒य॒त् ॥३८.६॥
स्वर रहित मन्त्र
इन्द्रो दीर्घाय चक्षस आ सूर्यं रोहयद्दिवि। वि गोभिरद्रिमैरयत् ॥
स्वर रहित पद पाठइन्द्र: । दीर्घाय । चक्षसे । आ ।सूर्यम् । रोहयत् । दिवि ॥ वि । गोभि: । अद्रिम् । ऐरयत् ॥३८.६॥
अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 38; मन्त्र » 6
भाषार्थ -
(ইন্দ্রঃ) পরমেশ্বর (দীর্ঘায়) দূর-দূর পর্যন্ত (চক্ষসে) দেখার জন্য, (দিবি) দ্যুলোকে, (সূর্যম্) সূর্যের (আ রোহয়ৎ) আরোহণ করিয়েছেন, এবং (গোভিঃ) সূর্যের কিরণ-সমূহ দ্বারা (অদ্রিম্) মেঘকে (বি ঐরয়ৎ) বিবিধ স্থানে প্রেরিত করেছেন।
- [অদ্রি=মেঘ (নিঘং০ ১.১০)। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে “দিব্” এর অর্থ হল মূর্ধা, মস্তিষ্ক। যথা “দিবং যশ্চকে মূর্ধানম্” (অথর্ব০ ১০.৭.৩২); তথা “শীর্ষ্ণো দ্যৌঃ সমবর্ত্তত” (যজুঃ০ ৩১.১৩)। সূর্যম্=সহস্রারচক্র। সহস্রারচক্র, মস্তিষ্কে স্থিত। তালুর উপরের উপর ব্রহ্মরন্ধ্র আছে, এবং ব্রহ্মরন্ধ্রের উপর সহস্রারচক্র আছে। সহস্রারচক্রকে সহস্রদল কমলও বলা হয়। এই কমল/পদ্মের সহস্র পাপড়ি আছে। ইহা নানা বর্ণের প্রকাশে প্রকাশিত। সহস্রারচক্র জ্ঞানবাহিনী সূক্ষ্ম নাড়ি-সমূহের গুচ্ছ। ধ্যানাভ্যাস দ্বারা এই নাড়ি-সমূহের মধ্যে প্রকাশ উৎপন্ন হয়। এইজন্য সহস্রারচক্র হল আধ্যাত্মিক সূর্যরূপ, যা মস্তিষ্করূপী দ্যুলোকে স্থিত। ইহা শারীরিক সকল শক্তির কেন্দ্র। দীর্ঘায় চক্ষসে— সহস্রারচক্র বা সহস্রদল কমল প্রস্ফুটিত হলে সূক্ষ্ম, ব্যবহিত তথা দূরস্থ পদার্থ-সমূহের প্রত্যক্ষদর্শন হয়। তখন চিত্তের মধ্যে সর্বজ্ঞাতৃত্বশক্তি উৎপন্ন হয়, অর্থাৎ যোগী যা জানতে চায় তা ধ্যানবৃত্তি দ্বারা জ্ঞাত হয়। এই বর্ণনা “দীর্ঘায় চক্ষসে” দ্বারা হয়েছে। অর্থাৎ এই দিব্যদৃষ্টি দ্বারা দেশ কাল থেকে ব্যবহিত বস্তুরও পরিজ্ঞান হয়। গোভিঃ= ইহার অভিপ্রায় হল সহস্রারচক্রের “প্রকাশময়ী কিরণ-সমূহ”। “গো” এর অর্থ কিরণ-সমূহও হয়। অদ্রিম্— অদ্রি এর অর্থ হল, মেঘ। যেমন মেঘ থেকে বর্ষা হয়, তেমনই মস্তিষ্ক থেকেও বর্ষা হতে থাকে। মস্তিষ্কের দুই গোলার্ধে থাকা তরল “দ্রব” প্রতিক্ষণ সমস্ত মস্তিষ্ক স্নিগ্ধ রাখে। সেই তরল “দ্রব” সুষুম্ণা-নালীর মধ্যে ক্ষরিত হতে থাকে। তথা সেই তরল “দ্রব” কণ্ঠগত “কাক” অর্থাৎ "Uvula" এর সমীপে বিদ্যমান “কপাল মহাছিদ্র” থেকেও ক্ষরিত হতে থাকে। ইহাকে মেঘবর্ষা বলা হয়। নীরোগাবস্থায় এই তরল “দ্রব” জলবৎ স্বচ্ছ, শুভ, তথা স্বাদে মধুর হয়, কিন্তু ইহার মধ্যে যৎকিঞ্চিৎ তীক্ষ্ণতাও হয়/থাকে। যোগীগণ ইহা পান করে। ইহাকে অমৃত তথা অমর বারুণীও বলা হয়। (দেখো—“পাতঞ্জলয়োগপ্রদীপ” শ্রী স্বামী ওমানন্দ রচিত; তথা যোগী শ্রী জগন্নাথ পথিক রচিত “সন্ধ্যাযোগ”)।]
इस भाष्य को एडिट करें