अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 5/ मन्त्र 7
यस्ते॑ शृङ्गवृषो नपा॒त्प्रण॑पात्कुण्ड॒पाय्यः॑। न्यस्मिन्दध्र॒ आ मनः॑ ॥
स्वर सहित पद पाठय: । ते॒ । शृ॒ङ्ग॒ऽवृ॒ष॒: । न॒पा॒त् । प्रन॑पा॒दिति॒ प्रऽन॑पात् । कु॒ण्ड॒ऽपाय्य॑: ॥ नि । अ॒स्मि॒न् । द॒ध्रे॒ । आ । मन॑: ॥५.७॥
स्वर रहित मन्त्र
यस्ते शृङ्गवृषो नपात्प्रणपात्कुण्डपाय्यः। न्यस्मिन्दध्र आ मनः ॥
स्वर रहित पद पाठय: । ते । शृङ्गऽवृष: । नपात् । प्रनपादिति प्रऽनपात् । कुण्डऽपाय्य: ॥ नि । अस्मिन् । दध्रे । आ । मन: ॥५.७॥
अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 5; मन्त्र » 7
भाषार्थ -
হে পরমেশ্বর! (নপাৎ) আকাশ থেকে অপতনশীল, এবং (শৃঙ্গবৃষঃ) কিরণ দ্বারা বর্ষণকারী, (প্রণপাৎ) চিরকাল অপতনশীল, এবং (কুণ্ডপায়্যঃ) পূর্ণ কুণ্ডের জল পানকারী (যঃ) যে এই (তে) আপনার সূর্য আছে, (অস্মিন্) এই সূর্যের সুরক্ষায় (মনঃ) আপনার মন (নি আ দধ্রে) নিরন্তর আহিত।
- [জলপূর্ণ কুণ্ড-পুকুরের জলকে সূর্য নিজের প্রখর কিরণ দ্বারা পান করে শুকিয়ে দেয়। সমুদ্রও একটি জলপূর্ণ মহাকুণ্ডের সদৃশ। সূর্য, শৃঙ্গ সমান তীক্ষ্ণ কিরণ দ্বারা, সমুদ্রের জল পান করে বর্ষা করে। যখন থেকে সূর্য সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরাধার আকাশে স্থিত। নীচে উহার পতন হচ্ছে না। সূর্য হল সৌর-মণ্ডলের কেন্দ্র-স্থান, এবং এই কেন্দ্রীয়-সূর্যের দ্বারা সৌর-মণ্ডল পরস্পরাকর্ষণ দ্বারা মহাকাশে চলমান। সূর্যের মধ্যে কেন্দ্রীয়-শক্তি পরমেশ্বর স্থাপিত করেছেন, এবং এই কেন্দ্রিয়শক্তি দ্বারা পরমেশ্বর সৌর-মণ্ডলকে পরস্পর আবদ্ধ করে রেখেছেন। এইজন্য সৌর-মণ্ডলের মধ্যে সূর্য কেন্দ্রীয়-শক্তিরূপ। পরমেশ্বরের শক্তি সূর্যের মধ্যে, কেন্দ্রশক্তিরূপে নিহিত। এইজন্য পরমেশ্বরের নিয়ন্ত্রণ-শক্তির কেন্দ্র হল সূর্য। এই ভাবনাকে “ন্যস্মিন্ দধ্রে আ মনঃ” এই শব্দগুলোর দ্বারা কবিশৈলীতে দর্শানো হয়েছে। যজুর্বেদের মন্ত্রও এবিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করে। যথা—“যোঽসাবাদিত্যে পুরুষঃ সোঽসাবহম্। ও৩ম্ খং ব্রহ্ম” (যজুঃ০ ৪০.১৭)। অর্থাৎ পরমেশ্বর স্বয়ং বলেছেন—“যে তিনি আদিত্যের মধ্যে নিয়ামক রূপে স্থিত পুরুষ, সেই আমি, যার নাম ‘ও৩ম্’, আকাশবৎ সর্বব্যাপক, এবং ব্রহ্ম”। এইভাবে কেন্দ্রীয়শক্তির মধ্যে পরমেশ্বরের মন অর্থাৎ এই ইচ্ছা নিহিত যে, কোথাও সূর্যের পতন হয়ে গেলে সমগ্র সৌর-মণ্ডল নষ্ট-ভ্রষ্ট যেন না হয়ে যায়। আদিত্যের মধ্যে মনের স্থিতির অভিপ্রায় হল, বেদে ব্রহ্মাণ্ডকে পরমেশ্বরের শরীর বলা হয়েছে (যজুঃ০ ৩১.১২, ১৩)। আমরা নিজেদের শরীরে অনুভব করি, আমাদের শরীরের প্রত্যেক অঙ্গের স্থিতি তথা চেষ্টা মনের ওপর বা মানসিক স্থিতির ওপর নির্ভরশীল। মনের ইচ্ছায় শরীর চলছে, চোখের নিমেষোন্মেষ হয়, হাত-পা চলে, তথা খাদ্য-পানীয় গ্রহণ, ভাষণ তথা অন্য ক্রিয়া হচ্ছে। এইভাবে সূর্যাদির স্থিতিতে পরমেশ্বরীয় মন বা ইচ্ছাই হল মুখ্য কারণ। সূর্য যতঃ সৌর-মণ্ডলের কেন্দ্র, এইজন্য এই কেন্দ্রভূত সূর্যের মধ্যে পরমেশ্বরীয় মন নিহিত হওয়ার বর্ণনা মন্ত্রে হয়েছে ।]
इस भाष्य को एडिट करें