Loading...

काण्ड के आधार पर मन्त्र चुनें

  • अथर्ववेद का मुख्य पृष्ठ
  • अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 126/ मन्त्र 5
    सूक्त - वृषाकपिरिन्द्राणी च देवता - इन्द्रः छन्दः - पङ्क्तिः सूक्तम् - सूक्त-१२६

    प्रि॒या त॒ष्टानि॑ मे क॒पिर्व्य॑क्ता॒ व्यदूदुषत्। शिरो॒ न्वस्य राविषं॒ न सु॒गं दु॒ष्कृते॑ भुवं॒ विश्व॑स्मा॒दिन्द्र॒ उत्त॑रः ॥

    स्वर सहित पद पाठ

    प्रि॒या । त॒ष्ठानि॑ । मे॒ । क॒पि: । विऽअ॑क्ता । वि । अ॒दू॒दु॒ष॒त्‌ ॥ शिर॑: । नु । अ॒स्य॒ । रा॒वि॒ष॒म् । न । सु॒ऽगम् । दु॒:ऽकृते॑ । भु॒व॒म् । विश्व॑स्मात् । इन्द्र॑: । उत्ऽत॑र ॥१२६.५॥


    स्वर रहित मन्त्र

    प्रिया तष्टानि मे कपिर्व्यक्ता व्यदूदुषत्। शिरो न्वस्य राविषं न सुगं दुष्कृते भुवं विश्वस्मादिन्द्र उत्तरः ॥

    स्वर रहित पद पाठ

    प्रिया । तष्ठानि । मे । कपि: । विऽअक्ता । वि । अदूदुषत्‌ ॥ शिर: । नु । अस्य । राविषम् । न । सुऽगम् । दु:ऽकृते । भुवम् । विश्वस्मात् । इन्द्र: । उत्ऽतर ॥१२६.५॥

    अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 126; मन्त्र » 5

    भाषार्थ -
    (কপিঃ) কপি অর্থাৎ বানরের সমান বৃষাকপি (মে) আমার অর্থাৎ [আমার] ইন্দ্রাণী-এর (প্রিয়া) প্রিয় এবং (ব্যক্তা) অভিব্যক্ত (তষ্টানি) সুবিচারিত মনোভাবনাকে (ব্যদূদুষৎ) বিশেষভাবে দূষিত করে দিয়েছে। এইজন্য (অস্য) এই কপি অর্থাৎ বৃষাকপি-এর (শিরঃ) শিরকে (নু) নিশ্চয়পূর্বক, (রাবিষম্) আমি ইন্দ্রাণী বিকৃত করেছি/করে দিয়েছি, (দুষ্কৃতে) এই দুষ্কর্মী কপি অর্থাৎ বৃষাকপির জন্য (সুগং ন ভুবম্) সুগমতা দ্বারা প্রাপ্ত আমি হইনি। (বিশ্বস্মাৎ০) পূর্ববৎ।

    - [তষ্টানি— তক্ষ্=To invent, form in the mind (আপ্টে)। রাবিষম্=রুঙ্ রেষণে। মন্ত্র ৪ এবং ৫ বিশেষ-বিচার যোগ্য। মন্ত্র ৪ এ “শ্বা” তথা “বরাহয়ু” দ্বারা বৃষাকপি-কে পরমেশ্বর দ্বারা রক্ষা প্রাপ্ত করার অযোগ্য বলা হয়েছে, কারণ তার মধ্যে লোভ এবং অশুচিতা বিদ্যমান। মন্ত্র ৫ এ বৃষাকপি-কে কেবল “কপি” অর্থাৎ বাঁদর/বানর পদ দ্বারা স্মরণ করে তার শির অর্থাৎ বিচার-সমূহকে বিনাশ যোগ্য বলা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে ইন্দ্রাণী যে সুবিচারিত নির্দেশ বৃষাকপি-কে দিয়েছিল, তা বৃষাকপি দূষিত করেছে। এইজন্য বৃষাকপি-এর বিচার দূষিত, এবং সে দুষ্কর্মী হয়ে গেছে, অতঃ আমি ইন্দ্রাণী তার দ্বারা সুগমতাপূর্বক প্রাপ্তিযোগ্য নয়। বৃষাকপি-কে কেবল কপি বলে, কপি অর্থাৎ বানরের মতো আচরণকারী দর্শানো হয়েছে। ইহার দ্বারা কপি-এর কামুকতার নির্দেশ করে বৃষাকপি অর্থাৎ জীবাত্মার কামুকতা সূচিত করা হয়েছে। জীবাত্মার এই কামুকতা তার বিচারকে/বিচারসমূহ দূষিত করে তাকে দুষ্কর্মী করে দেয়, এর ফলে জীবাত্মা আধ্যাত্মিক-ইন্দ্রাণী প্রাপ্ত হতে পারে না। কপি (=বানরের) এর কামুকতার নির্দেশক মন্ত্র নিম্নলিখিত। যথা— শ্বেবৈকঃ॑ ক॒পিরি॒বৈকঃ॑ কুমা॒রঃ স॑র্বকেশ॒কঃ। প্রি॒য়ো দৃ॒শ ই॑ব ভূ॒ত্বা গ॑ন্ধ॒র্বঃ স॑চতে॒ স্ত্রিয়॒স্তমি॒তো না॑শয়ামসি॒ ব্রহ্ম॑ণা বী॒র্যাবতা॥ অথর্ব০ ৪.৩৭.১১॥ “কপিরিবৈকঃ কুমারঃ” দ্বারা কপি এর সদৃশ কুৎসিত “মার” অর্থাৎ কামবাসনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইভাবে “শুনাং কপিরিব দূষণঃ” (অথর্ব০ ৩.৯.৪) দ্বারা কপি-এর বিষয়ে দূষণ শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে, যেমন মন্ত্র ৫ এ “ব্যদূদুষৎ” দ্বারা দর্শানো হয়েছে। এই দৃষ্টিতে অর্থাৎ লোভ, অশুচিতা, এবং কামুকতার দৃষ্টিতে মন্ত্র ৪ তথা ৫ এ “বৃষাকপি” এর অর্থ পরিবর্তন হয়েছে, বৃষা অর্থাৎ বীর্যের বর্ষণকারী, কপি-এর সমান কামী/কামাতুর। ৫ এর পূর্বের মন্ত্রগুলোতে বৃষাকপির সাত্ত্বিক ভাবনার অর্থ দর্শানো হয়েছে। ইন্দ্রাণী=ইন্দ্রের শক্তি। ইন্দ্রের দুটি অর্থ—পরমেশ্বর, এবং ইন্দ্রিয়-সমূহের অধিষ্ঠাতা জীবাত্মা। পরমেশ্বর হলেন বিভু, এবং প্রভুতাসম্পন্ন। যথা—“ভূয়ানরাত্যাঃ শচ্যাঃ পতিস্ত্বমিন্দ্রাসি বিভূঃ প্রভূরিতি ত্বোপাস্মহে বয়ম্” (অথর্ব০ কা০ ১৩, সূ০ ৪ (৫), মন্ত্র ৪৭)। জীবাত্মা পরিচ্ছিন্ন, এবং ইন্দ্রিয়সহিত দেহের মধ্যে থাকে। ওম্-এর জপ তথা ওম্-বাচ্য পরমেশ্বরের চিন্তন দ্বারা জীবাত্মাকে দুটি শক্তি প্রাদুর্ভূত হয়—(১) জীবাত্মার বিবেকজ্ঞান, এবং (২) পরমেশ্বরের কৃপা। এই দুইয়ের মিলনকে “ইন্দ্রাণী” বলা হয়েছে। যোগদর্শনে বলা হয়েছে—ওম্-এর জপ তথা ঈশ-চিন্তন দ্বারা জীবাত্মার “প্রত্যক্-চেতনা” এর অধিগম/প্রাপ্তি হয়, তথা পরমেশ্বরের সাক্ষাৎকারও (যোগ ১.২৯)। এই দুই শক্তির মিলনকে, অর্থাৎ ইন্দ্রাণীকে, কেনোপনিষদ্-এ “উমা” বলা হয়েছে। সেই “উমা” ওম্-এর জপ তথা চিন্তন দ্বারা আবির্ভূত হয়। ওম্=অ+উ+ম্। উমা=উ+ম্+অ+আ (স্ত্রীলিঙ্গ)। কেনোপনিষদ অনুসারে এক “যক্ষ” প্রকট হয়েছে, যাকে জানার জন্য অগ্নি বায়ু দেবতা অগ্রসর হয়েছে, কিন্তু জানতে পারেনি এই যজ্ঞ কী? তদনন্তর ইন্দ্র (=জীবাত্মা) যজ্ঞকে জানার জন্য অগ্রসর হয়েছে। সেই সময় “উমা” স্ত্রী রূপে আকাশে প্রকট হল, যা বহুুশোভমায়া ছিল, এবং হিম সমান শুভ্র অর্থাৎ সাত্ত্বিক তার রূপ ছিল। উমা যক্ষ-এর বিষয়ে ইন্দ্র (=জীবাত্মা) কে বলল যক্ষ হল “ব্রহ্ম”। জীবাত্মা তখন, উমা দ্বারা ব্রহ্ম জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, যখন জীবাত্মা লোভ, অশুচিতা, কাম-বাসনারহিত হয়ে ওম্-এর জপ, তথা ওম্-বাচ্য ঈশ্বরের চিন্তনে মগ্ন হয়ে যায়।

    इस भाष्य को एडिट करें
    Top