Loading...
अथर्ववेद > काण्ड 20 > सूक्त 34

काण्ड के आधार पर मन्त्र चुनें

  • अथर्ववेद का मुख्य पृष्ठ
  • अथर्ववेद - काण्ड 20/ सूक्त 34/ मन्त्र 2
    सूक्त - गृत्समदः देवता - इन्द्रः छन्दः - त्रिष्टुप् सूक्तम् - सूक्त-३४

    यः पृ॑थि॒वीं व्यथ॑माना॒मदृं॑ह॒द्यः पर्व॑ता॒न्प्रकु॑पिताँ॒ अर॑म्णात्। यो अ॒न्तरि॑क्षं विम॒मे वरी॑यो॒ यो द्या॒मस्त॑भ्ना॒त्स ज॑नास॒ इन्द्रः॑ ॥

    स्वर सहित पद पाठ

    य: । पृ॒थि॒वीम् । व्यथ॑मानाम् । अदृं॑हत् । य: । पर्व॑तान् । प्र । कु॑पितान् । अर॑म्णात् ॥ य: । अ॒न्तरि॑क्षम् । वि॒ऽम॒मे । वरी॑य: । य: । द्याम् । अस्त॑भ्नात् । स: । ज॒ना॒स॒: । इन्द्र॑: ॥३३.२॥


    स्वर रहित मन्त्र

    यः पृथिवीं व्यथमानामदृंहद्यः पर्वतान्प्रकुपिताँ अरम्णात्। यो अन्तरिक्षं विममे वरीयो यो द्यामस्तभ्नात्स जनास इन्द्रः ॥

    स्वर रहित पद पाठ

    य: । पृथिवीम् । व्यथमानाम् । अदृंहत् । य: । पर्वतान् । प्र । कुपितान् । अरम्णात् ॥ य: । अन्तरिक्षम् । विऽममे । वरीय: । य: । द्याम् । अस्तभ्नात् । स: । जनास: । इन्द्र: ॥३३.२॥

    अथर्ववेद - काण्ड » 20; सूक्त » 34; मन्त्र » 2

    भाषार्थ -
    (যঃ) যিনি (ব্যথমানাম্) ব্যথিত (পৃথিবীম্) পৃথিবীকে (অদৃংহৎ) দৃঢ় করেছেন। (যঃ) যিনি (প্রকুপিতান্) প্রকুপিত (পর্বতান্) পর্বত-সমূহকে (অরম্ণাৎ) শান্ত করেছেন। (যঃ) যিনি (বরীয়ঃ) সর্বাচ্ছাদক মহাবিস্তারী (অন্তরিক্ষম্) অন্তরিক্ষকে (বিমমে) পরিমাপ করে রেখেছেন। (যঃ) যিনি (দ্যাম্) দ্যুলোক (অস্তভ্নাৎ) ধারণ করে রয়েছেন, (জনাসঃ) হে সজ্জনগণ! (সঃ) তিনি (ইন্দ্রঃ) পরমেশ্বর।

    - [পৃথিবী সূর্য থেকে বিভক্ত হয়েছে। বিভাগ-কালে পৃথিবী এমনই জ্বলন্ত/আগ্নেয়-গ্যাস রূপ ছিল, যেমনটা সূর্য ছিল, এবং এখনও আছে। শনৈঃ-শনৈঃ/ধীরে-ধীরে পৃথিবী শীতল হয়েছে এবং দ্রবরূপের তরলাবস্থায় পরিবর্তিত হয়েছে। এবং অধিক শীতল হওয়ার পর পৃথিবী তেলের সদৃশ বা গলিত ঘী-এর-সদৃশ কিছু ঘনাবস্থায় পরিবর্তিত হয়েছে। এইভাবে শনৈঃ শনৈঃ অধিকাধিক ঘনাবস্থার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হতে-হতে বর্তমান দৃঢ়াবস্থায় এসেছে। যদ্যপি সূর্য এখনও জ্বলন্ত গ্যাস রূপে প্রায়ঃ বিদ্যমান। পৃথিবীর তরলাবস্থাকে মন্ত্রে “ব্যথমানাম্” শব্দ দ্বারা দর্শানো হয়েছে। “ব্যথ” এর অর্থ হয় “সঞ্চলনাবস্থা”। যদ্যপি পৃথিবীর ঘটক অবয়ব পরস্পর একে-অপরের সাথে সুদৃঢ় রূপে বদ্ধ ছিল না। যেমন সমুদ্রীয় জলের ঘটক অবয়ব পরস্পর একে-অপরের সাথে সুদৃঢ়ভাবে যুক্ত নয়। পৃথিবীর বর্তমানাবস্থা সুদৃঢ়াবস্থা, যেমনটা মন্ত্রে বলা হয়েছে—“যেন দ্যৌরুগ্রা পৃথিবী চ দৃঢা” (যজুঃ০ ৩২.৬)। যখন পৃথিবী তরলাবস্থায় বা তৈলাবস্থায় ছিল, তখন পৃথিবীতে পার্থিব-তরঙ্গ অনেক উত্থিত হত, যেমন জলীয়-সমুদ্রে তরঙ্গ উঠতে থাকে। এই পার্থিব-তরঙ্গ-সমূহ পর্বতের রূপে উত্থিত হত, এবং এই তরঙ্গময়-পর্বত পৃথিবীর তরল দ্রবের মধ্যেও নিজ-নিজ স্থান পরিবর্তন হত। শনৈঃ শনঃ পৃথিবী শীতল হয়ে ঘনীভূত হয়ে, এবং পৃথিবীর সাথে-সাথে পার্থিব-তরঙ্গময় পর্বতও শীতল হয়ে ঘনীভূত হল। এই ঘনীভূত অবস্থায়ও এই পর্বত-সমূহ থেকে অগ্নি উত্থিত হত, যেমন আগ্নেয়গিরি পর্বতে এখনও অগ্ন্যুৎপাত হতে থাকে। এই পর্বত-সমূহের এরূপ অবস্থাকে মন্ত্রে “প্রকুপিতান্” শব্দ দ্বারা সূচিত করা হয়েছে। এবং বর্তমান শান্ত-শান্ত অবস্থাকে “অরম্ণাৎ” শব্দ দ্বারা দর্শানো হয়েছে। “অরম্ণাৎ” এ “রম্” ধাতুর অর্থ “ক্রীড়া”ও হয়, যার দ্বারা পার্থিব তরঙ্গযুক্ত পর্বতের সেই অবস্থাও সূচিত করা হয়েছে, যখন এই তরঙ্গিত-পর্বতের, দ্রবরূপ পৃথিবীর স্তরে, নিজ স্থান পরিবর্তন হত। ইহাও মানো ক্রীড়া ছিল।]

    इस भाष्य को एडिट करें
    Top